লোডশেডিংয়ের এলাকা ও সময় জানিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৬, ২০২২, ১০:৫০ পিএম

লোডশেডিংয়ের এলাকা ও সময় জানিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

জনগণের কষ্ট লাঘবে লোডশেডিংয়ের এলাকা ও সময় জানিয়ে দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা। বুধবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।

সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হন।

আরও পড়তে পারেন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আলোকসজ্জা না করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলাকাভিত্তিক রুটিন করে কোন এলাকায় কত ঘণ্টা লোডশেডিং হবে তা জানিয়ে দিতে হবে। যাতে সে সময়টা মানুষ প্রস্তুত থাকতে পারে, মানুষের কষ্টটা যেন আমরা লাঘব করতে পারি।”

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু সময়ের জন্য (প্রতিদিন) বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে বলব, যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়।

সরকারপ্রধান বলেন, “তাই সকলকে বিদ্যুৎ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

কৃষিতে আমাদের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, বিদ্যুতে ভর্তুকি দিচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বিদ্যুতে এখনও আমাদের মোটা অঙ্কে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা আর কত ভর্তুকি দেব?” এসময় তিনি সকলকে বিদ্যুৎ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জনগণের কষ্ট লাঘবে আমরা সাধারণ মানুষকে নগদ অর্থ দিচ্ছি। উপকারভোগীদের কার্ড করে দিচ্ছি, রেশন কার্ডের মতো পারিবারিক কার্ড দিচ্ছি। যেখানে স্বল্পমূল্যে প্রায় এক কোটি মানুষের জন্য কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। যেন তারা কম দামে খাদ্যপণ্য কিনতে পারে। মানুষের কল্যাণে যা যা করার সব ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।”

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্ব সংকট তৈরি করেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আমেরিকা ও ইউরোপের রাশিয়ার ওপর দেওয়া বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার ফলাফলটা এমন দাঁড়িয়েছে, এখন তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, ডিজেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমরা এলএনজি আমদানি করতাম, তার দামও বেড়ে গেছে। শুধু তাই না, যেসব শিপমেন্ট হয় সেটার ভাড়াও অনেক বেড়ে গেছে। যেটা ৮০০ কোটি টাকায় পেতাম সেটার দাম বেড়ে এখন ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি হয়েছে।”

Link copied!