সংকট সমাধানে সম্প্রতি ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এ্যামুনেল ম্যাকরন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার দুই প্রেসিডেন্টকে আলোচনার টেবিলে বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। ইউক্রেনে পুতিন হামলা চালাতে পারবেন না, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আলোচনার শুরুর আগেই এ শর্ত দিয়েছিলেন। এমন অবস্থার মধ্যেই ইউক্রেনের রুশপন্থী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চলে হামলার নির্দেশ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন বলেছেন, ওই দুটি অঞ্চলে শান্তিরক্ষী হিসেবে কাজ করবে রুশ সৈন্যরা। পুতিনের এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার ৫টি ব্যাংক ও ৩ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ব্রিটেন।
অন্য দেশে গিয়ে শান্তিরক্ষীর দায়িত্ব নিতে পুতিনের এ সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, “পুতিনের সত্যিকার উদ্দেশ্য সবার জানা আছে “। যদিও এ ব্যাপারে পুতিনের বক্তব্য, ইউক্রেনকে তারা নিজেদের অংশই মনে করে। এজন্যই ২০১৪ সাল থেকে ওই দুটি অঞ্চলে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে সমর্থন দিয়ে আসছে মস্কো।
ইউক্রেনের রুশপন্থী নাগরিকরা দেশটির ডোনেস্ক এবং লুহান্সক এই দুটি অঞ্চলে স্বাধীনতা ঘোষণা করে সরকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে কয়েক দশক ধরে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল নিতে বিক্ষোভ সামনে আসে। গত কয়েক সপ্তাহের উত্তেজনার মধ্যে এবার স্বাধীনতা ঘোষণা করা ওই দুটি অঞ্চলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে হামলা নির্দেশ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি রুশপন্থীদের উপর ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর দমন পীড়ন বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকাগুলো থেকে রাশিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছিলেন তারা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে, মঙ্গলবার ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর এ হামলা শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক পন্থায় সংকট সমাধানের চেষ্টার মধ্যে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেনসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ।
স্কাই নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাভিদ বলেছেন, 'রাশিয়া ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক এবং সৈন্য পাঠিয়েছে। যার মানে দেশটিতে হামলা শুরু হয়ে গেছে। আপনি ধরে নিতে পারেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে।
সাজিদ আরও বলেন, 'আজ ইউরোপের জন্য খুব অন্ধকার একটি দিন। ইতিমধ্যেই আমরা যা জানতে পেরেছি তাতে এটা পরিষ্কার যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সার্বভৌম ইউক্রেন এবং তাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপরই হামলা করেছে।'
তবে এমন হামলা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও যুক্তরাজ্য বরাবর বলে আসছে। যোগ করেন সাজিদ।
সূত্র: বিবিসি।
এ সংক্রান্ত আরও খবর-
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে - পুতিন